উপায়-১
ক্লিনজার, টোনার ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা।
ক্লিনজার : উজ্জ্বল ও ফর্সা ত্বক পাওয়ার প্রথম ধাপ হলো অবশ্যই নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখা। আপনার ত্বক উপযোগী ক্লিনজার ব্যবহার করুন। তবে মুখের জন্য কখনোই সাবান ব্যবহার করবেন না, কারণ এতে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে।
টোনার : দ্বিতীয় ধাপ হলো ত্বককে সব সময় হাইড্রেট করা বা মসৃণ রাখা। ফেসিয়াল টোনার ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখতে সাহায্য করে।
ময়েশ্চারাইজার : ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন রূপ-বিশেষজ্ঞরা। ময়েশ্চারাইজার কেনার সময় লক্ষ রাখবেন, তাতে যেন রং ফর্সাকারী উপাদান এবং এসপিএফ থাকে, যা সূর্যের তাপ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে।
উপায়-২
কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করা। কমপ্যাক্ট পাউডার মেকআপ বসাতে ও বাইরের ধুলোবালি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া সারা দিন ত্বককে অতিরিক্ত তেলমুক্ত ও সতেজ রাখে। নিয়মিত এর ব্যবহারে ত্বকের রং ধীরে ধীরে উজ্জ্বল এবং ফর্সা হয়ে ওঠে।
উপায়-৩
মধু, চালের গুঁড়া ও চায়ের লিকার। এটি খুব সহজ, কিন্তু কার্যকর একটি ফেসপ্যাক। মধু ও চায়ের লিকার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে। আর চালের গুঁড়া প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। এক কাপ ঠান্ডা চায়ের লিকার, দুই চামচ চালের গুঁড়া এবং আধা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এই বিউটি রেসিপি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার ত্বক আরো ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
উপায়-৪
কমলার খোসা ও টক দই। কমলার খোসা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এবং টক দই ত্বককে পরিষ্কার রাখতে বেশ কার্যকর। কমলার খোসা গুঁড়ার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর গোলাপজল দিয়ে ধুয়ে নিন। এই প্যাক ত্বককে প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা ও উজ্জ্বল করে তুলবে।
উপায়-৫
হলুদ, ময়দা ও দুধ। রূপচর্চায় হলুদের উপকারিতা নতুন করে বলার প্রয়োজনীয়তা রাখে না। দুধ ত্বককে পরিষ্কার ও ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। ময়দা, সামান্য পরিমাণে হলুদ গুঁড়া ও দুধ মিশিয়ে ভালো পেস্ট করে নিন। মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে এলে একটি বরফের টুকরা দিয়ে মুখে এক মিনিট হালকা ঘষে নিন। এই বরফ ত্বককে টানটান করতে ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।