মস্তিষ্কের টিউমার একটি জটিল সমস্যা। এনটিভির নিয়মিত আয়োজন ‘স্বাস্থ্য প্রতিদিন’ অনুষ্ঠানের ২৪৭৩তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. আর এন ভট্টাচার্য্য। বর্তমানে তিনি এএমআরআই হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান হিসেবে কর্মরত।
প্রশ্ন : মস্তিষ্কের টিউমারটি আসলে কী?
উত্তর : টিউমার মানে একটি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। শরীরের কোথাও এই বৃদ্ধি হয়। তেমনি মস্তিষ্কেও এর বৃদ্ধি হয়। মস্তিষ্কটি একটি খুলি বা হাড়ের মধ্যে থাকে। মস্তিষ্কে টিউমার হলে দ্রুত চিকিৎসার দরকার হয়। মস্তিষ্কের টিউমারের বিষয়ে যদি বলতে হয় বলতে হবে, শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক দুজনেরই মস্তিষ্কের টিউমারের লক্ষণ হবে একটু আলাদা। ঝুঁকিপূর্ণ দলের মধ্যে বাচ্চারাও পড়ে, আবার বড়রাও পড়ে। তবে লক্ষণগুলো ভিন্ন হবে।
প্রশ্ন : যেমন, কী ধরনের লক্ষণ প্রকাশ পায়?
উত্তর : শিশুর হয়তো দুই-তিন বছর বয়স। ভালোভাবে হাঁটছিল। হঠাৎ পরিবারের লোকেরা দেখল, বাচ্চাটা পড়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবে সে হাঁটছিল, দৌড়াচ্ছিল, তবে সে পড়ে যাচ্ছে। এটাও মস্তিষ্কের টিউমারের একটি লক্ষণ হতে পারে। বাচ্চা তো আর অভিযোগ করতে পারে না মাথাব্যথার। বাচ্চা বিরক্ত হয়ে যাবে। খিটখিটে মেজাজের হয়ে যাবে। বমি অনেক সময় হতে পারে। খাবারদাবারে অনীহা হতে পারে।
প্রশ্ন : আর বড়দের ক্ষেত্রে কী লক্ষণ প্রকাশ পাবে?
উত্তর : বড়দের ক্ষেত্রে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি হতে পারে। আরেকটি হলো চোখের দৃষ্টি ধীরে ধীরে কমে যাবে। এগুলো হচ্ছে প্রধান লক্ষণ।
এর পর মস্তিষ্কের যে অংশে টিউমার আছে, সেখানে লক্ষণ প্রকাশ পাবে।
প্রশ্ন : আপনাদের কাছে যখন রোগীরা আসেন সাধারণত কোন সমস্যা নিয়ে আসেন?
উত্তর : মূলত খুব বেশি মাথাব্যথার কথা বলে। মস্তিষ্কের টিউমারের জন্য যে মাথাব্যথা হয়, সেখানে রোগীর প্রথমে বমি হতে পারে। মাথাব্যথাটা সকালে হয়। ঘুম ভেঙে যাবে অনেক সময়, তীব্র মাথাব্যথা হবে।
অনেক রোগীর ক্ষেত্রে মৃগী হয়। মৃগী কোনোদিন হয়তো হয়নি। হঠাৎ করে হয়তো মৃগী হচ্ছে। সেটিও একটি লক্ষণ হতে পারে।
0 comments:
Post a Comment
Thanks for your opinion.