This is default featured slide 1 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 2 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 3 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 4 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

This is default featured slide 5 title

Go to Blogger edit html and find these sentences.Now replace these sentences with your own descriptions.

Saturday, August 20, 2016

ত্বক ফর্সা করার উপায়

উপায়-১
ক্লিনজার, টোনার ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা।
ক্লিনজার : উজ্জ্বল ও ফর্সা ত্বক পাওয়ার প্রথম ধাপ হলো অবশ্যই নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখা। আপনার ত্বক উপযোগী ক্লিনজার ব্যবহার করুন। তবে মুখের জন্য কখনোই সাবান ব্যবহার করবেন না, কারণ এতে ত্বক শুষ্ক ও রুক্ষ হয়ে পড়ে।
টোনার : দ্বিতীয় ধাপ হলো ত্বককে সব সময় হাইড্রেট করা বা মসৃণ রাখা। ফেসিয়াল টোনার ত্বককে মসৃণ ও কোমল রাখতে সাহায্য করে। 
ময়েশ্চারাইজার : ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন রূপ-বিশেষজ্ঞরা। ময়েশ্চারাইজার কেনার সময় লক্ষ রাখবেন, তাতে যেন রং ফর্সাকারী উপাদান এবং এসপিএফ থাকে, যা সূর্যের তাপ থেকে ত্বককে রক্ষা করতে পারে।
উপায়-২
কমপ্যাক্ট পাউডার ব্যবহার করা। কমপ্যাক্ট পাউডার মেকআপ বসাতে ও বাইরের ধুলোবালি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে সাহায্য করে। এ ছাড়া সারা দিন ত্বককে অতিরিক্ত তেলমুক্ত ও সতেজ রাখে। নিয়মিত এর ব্যবহারে ত্বকের রং ধীরে ধীরে উজ্জ্বল এবং ফর্সা হয়ে ওঠে।
উপায়-৩
মধু, চালের গুঁড়া ও চায়ের লিকার। এটি খুব সহজ, কিন্তু কার্যকর একটি ফেসপ্যাক। মধু ও চায়ের লিকার ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখার ক্ষমতা রাখে। আর চালের গুঁড়া প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। এক কাপ ঠান্ডা চায়ের লিকার, দুই চামচ চালের গুঁড়া এবং আধা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এই বিউটি রেসিপি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনার ত্বক আরো ফর্সা ও উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
উপায়-৪
কমলার খোসা ও টক দই। কমলার খোসা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে এবং টক দই ত্বককে পরিষ্কার রাখতে বেশ কার্যকর। কমলার খোসা গুঁড়ার সঙ্গে টক দই মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর গোলাপজল দিয়ে ধুয়ে নিন। এই প্যাক ত্বককে প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা ও উজ্জ্বল করে তুলবে।
উপায়-৫
হলুদ, ময়দা ও দুধ। রূপচর্চায় হলুদের উপকারিতা নতুন করে বলার প্রয়োজনীয়তা রাখে না। দুধ ত্বককে পরিষ্কার ও ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। ময়দা, সামান্য পরিমাণে হলুদ গুঁড়া ও দুধ মিশিয়ে ভালো পেস্ট করে নিন। মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। শুকিয়ে এলে একটি বরফের টুকরা দিয়ে মুখে এক মিনিট হালকা ঘষে নিন। এই বরফ ত্বককে টানটান করতে ও উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।

তেজপাতার গুনাগুন

শিরোনাম পড়ে নিশ্চয়ই মনে হচ্ছে, এ কী আজব কথা! স্বাস্থ্য ভালো রাখতে আবার তেজপাতাও পোড়াতে হবে নাকি? আরো কত কী যে শুনব? মজার বিষয়ই বটে! তবে আপনি কি জানেন, শতাব্দী ধরে তেজপাতা নিরাময়কারী এবং স্বাস্থ্যকর ভেষজ পাতা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে?
কেবল তেজপাতা খেলে বা ব্যবহার করলেই নয়, পোড়ালেও কিন্তু অনেক উপকার পাওয়া যায়। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট হেলদি ফুড ট্রিকসে জানা গেল এই তথ্য।
একটি ছাইদানিতে কয়েকটি তেজপাতা নিয়ে ১০ মিনিট ধরে পোড়ান। এতে পাতা পুড়বে, পুড়বে এর মধ্যে থাকা এসেনশিয়াল অয়েলও। ধীরে ধীরে দেখবেন ঘরে সুগন্ধ ছড়াচ্ছে। ফলে গন্ধ মনকে সজীব করে দেবে। এটি মন ও শরীরকে প্রশমিত করতে সাহায্য করবে। এতে মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমবে।
প্রাচীন গ্রিক ও রোমানরা তেজপাতাকে পবিত্র ওষুধ বলত। বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে একে ব্যবহার করা হতো। সারা পৃথিবীতে অনেকেই এই পাতাকে মসলা হিসেবে ব্যবহার করেন। রান্নার স্বাদ বাড়াতে এবং সুগন্ধ আনতে এর ব্যবহার করা হয়।
তেজপাতার মধ্যে রয়েছে পিনেনে ও সাইনিয়ল নামে দুটি উপাদান। রয়েছে এসেনশিয়াল অয়েল। এর মধ্যে রয়েছে সাইকোঅ্যাকটিভ পদার্থ। তেজপাতা চিবালে এসব পদার্থ পাওয়া যায়।
এ ছাড়া এতে রয়েছে অ্যান্টিসেপটিক, ডিওরেটিক, স্যাডেটিভ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। এটি মেজাজকে ভালো করে। তেজপাতা পাকস্থলীর ফ্লু নিরাময়েও সাহায্য করে।
তেজপাতার মধ্যে আরো রয়েছে অ্যান্টিরিউম্যাটিক উপাদান। তেজপাতার এসেনশিয়াল অয়েল দিয়ে ম্যাসাজ করলে মাথাব্যথা কমে।
তেজপাতা
তেজপাতার ব্যবহারঃ 
  • অনেক সময় অনেকের ঘন ঘন তেষ্টা পায়। সেক্ষেত্রে ১ লিটার পানি তেজপাতা সেদ্ধ করে ছেঁকে নিয়ে ২-৩ বার খান। দেখবেন বার বার তেষ্টা পাচ্ছে না।

২. যারা খুব রোগা, তাদের জন্য তেজপাতা খুব উপকারী। চেহারা ফিরিয়ে আনতে তেজপাতা কুচিয়ে, থেঁতো করে ২ কাপ গরম পানিতে ১০-১২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ছেঁকে নিয়ে ২ বার করে ২ সপ্তাহ খেলে শরীরে জোর আসে, লাবণ্য ফিরে আসে।
  • দাদ হলে তেজপাতা থেঁতো করে ৪ কাপ জলে সেদ্ধ করে, সেই জল সকাল ও বিকেল খেতে হবে। ৪-৫ সপ্তাহ খেলেই দাদ-হাজা-চুলকানি সেরে যাবে।এছাড়া ওই পানি তুলোতে ভিজিয়ে দাদের জায়গায় দিয়ে মুছে নিলেও কাজ হয়।
  •  অনেক সময় প্রস্রাবের রঙ রক্তবর্ণ হয়। সেক্ষেত্রে তেজপাতা ২-৩ কাপ গরম জলে ২ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। এরপর ছেঁকে ২-৩ ঘণ্টা অন্তর এই পানি খেলে। প্রস্রাবের রঙ সাদা হয়ে যাবে।
  •  তেজপাতা ত্বক পরিষ্কারের জন্য খুব ভাল। তেজপাতাকে চন্দনের মতো বেটে, স্নানের আগে গায়ে মেখে ঘণ্টা খানেক রাখুন। এরপর স্নান করে নিলে ময়লা উঠে যায়। এছাড়া যাদের গায়ে দুর্গন্ধ থাকে, তাদের সেই সমস্যাও দুর হয়ে যায়।
  • সর্দিতে গলা বুজে যায় অনেকেরই। সেই সময় জোরে জোরে কথা বললে বা চিৎকার করলে গলা ভেঙে যায়। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে তেজপাতা থেঁতো করে ৩-৪ বার একটু করে খেলেই হবে।
  •  ফোঁড়া হলে যদি খুব যন্ত্রণা হয়, শক্ত হয়ে যায়, তবে এই অবস্থায় তেজপাতা বেটে ২-৩ বার প্রলেপ দিলে যন্ত্রণা কমে যাবে।
  • যাদের অতিরিক্ত ঘাম হয়, তার প্রতিদিন এক বার করে তেজপাতা বাটা মেখে আধ ঘণ্টা থাকার পর স্নান করে নিলে বেশি ঘাম হওয়া কমে যাবে। এইভাবে সাত দিন করতে হবে।
  • তেজপাতা জলে সিদ্ধ করে ছেঁকে ওই পানি কুলকুচি করলে মুখের অরুচি কেটে যায়।


Friday, August 19, 2016

ওজন কমারেন কিভাবে??

রোজ নিয়ম করে এক চামচ গোটা জিরা খেয়ে ফেলুন, তাতেই কমবে আপনার ওজন। তার আগে আর একটি কাজ আপনাকে করতে হবে। নিজের ওজন নিয়ে, লিখে রাখুন। ১৫ দিন পর ফের ওজন নিন। নিজেই অবাক হয়ে যাবেন। কলা দিয়ে জিরা খেলেও ওজন ঝরবে। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গোটা জিরা খুব দ্রুত শরীর থেকে ওজন ঝরাতে সক্ষম।

শুধু যে চর্বি বের করে দেয়, তা কিন্তু নয়। একই সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলকে শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে, যারা ওজন কমানোর জন্য জিমে গিয়ে ঘাম ঝরাচ্ছেন, একবার ১৫ দিনের জন্য জিরার ওপর ভরসা রাখতে পারেন। নিরাশ হবেন না। গবেষকরা বলছেন, জিরার মধ্যে রয়েছে থাইমল ও অন্যান্য কিছু তেলের উপস্থিতি। যার কাজ হলো লালা নিঃসরণকারী গ্রন্থিকে উত্তেজিত করা। যার ফলে খাবার ভালো হজম হয়। এ ছাড়াও জিরার গুণে পরিপাকতন্ত্র ভালো কাজ করে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, হজমের গণ্ডগোল হলে, জিরা দিয়ে চা খেয়ে দেখতে পারেন। উপকার পাবেন। এক গ্লাস পানিতে এক চামচ জিরা দিন। ভালো করে ফুটিয়ে নিন। পানির রং লালচে হয়ে এলে, গ্যাস বন্ধ করে, পাত্রটি চাপা দিয়ে রাখুন। একদম ঠাণ্ডা হওয়া অবধি অপেক্ষা করুন। এই জিরা চা দিনে তিনবার খেলে, হজমশক্তি বাড়বে। পেটে ব্যথা কমবে। এ ছাড়াও রইল জিরা খাওয়ার আরও কয়েকটি পদ্ধতি। ১. একটা গ্লাসে বড় চামচের দু চামচ গোটা জিরা সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে সেই পানি গরম করে, জিরা না ছেঁকে চায়ের মতো খান। মুখে গোট জিরা পড়লে ফেলবেন না। চায়ের মতো কয়েক দিন পান করুন। দেখবেন ওজন কমছে। ২. যদি দেখেন ওপরের পদ্ধতি আপনার ক্ষেত্রে খুব ভালো কাজ করছে না তা হলে দ্বিতীয় উপায়ের আশ্রয় নিন। খাবারে জিরার পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। দইয়ের সঙ্গেও জিরা খেতে পারেন। ৫ গ্রাম দইতে এক চামচ জিরা গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়মিত খান। ওজন নিশ্চিত ভাবেই কমবে। ৩. কয়েক চামচ মধু ও তিন গ্রাম জিরা গুঁড়ো এক গ্লাস জলে ভালো করে মিশিয়ে নিন। নিয়মিত এই মিশ্রণটি খান। স্যুপ তৈরি করে এক চামচ জিরা গুঁড়ো মিশিয়েও খেতে পারেন। ৪. গাজর ও অন্যান্য সবজি সেদ্ধ করে নিয়ে রসুন কুচি ও লেবুর রস ঢেলে দিন। তাতে কিছুটা জিরার গুঁড়ো মেশান। রোজ রাতে খেয়ে দেখুন। ১৫ দিনে পরেই বুঝতে পারবেন আপনার ওজন কমেছে। 

Thursday, August 18, 2016

গায়ের ব্রণ দূর করবেন যেভাবে

ব্রণ একটি বিরক্তিকর ত্বকের সমস্যা। আর পিঠে ব্রণ হলে তো কথাই নেই। পিঠে ব্রণ হলে শোয়া এবং পোশাক পরার ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়।পিঠের ব্রণ দূর করার জন্য দুটো ঘরোয়া জিনিস ব্যবহার করতে পারেন : মধু ও হলুদ।
স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি প্রকাশ করেছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
মধু
মধু ব্রণ আক্রান্ত এলাকাকে আর্দ্র ও ব্যথামুক্ত রাখে। মধুর মধ্যে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদানের জন্য এটি ব্রণের লক্ষণ ও সংক্রমণ প্রতিরোধে কাজ করে।
  • মধু আক্রান্ত স্থানে লাগান। ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুই থেকে তিনবার এটি করুন।
  • এক টেবিল চামচ মধুর মধ্যে আধা চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া মেশান। পিঠের যেসব জায়গায় ব্রণ হয়েছে সেসব জায়গায় মিশ্রণটি লাগান। ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে একবার এটি করুন।
হলুদ
হলুদের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। এটি ব্রণ প্রতিরোধে কাজ করে।
  • এক থেকে দুই টেবিল চামচ হলুদে সামান্য পরিমাণ তিলের তেল মেশান। আক্রান্ত স্থানে মাখুন। এক ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এক থেকে দুইবার এই কাজটি করুন।
  • এ ছাড়া দিনে অন্তত দুই বার হলুদ-দুধ খান। এক গ্লাস দুধে আধা চা চামচ হলুদ মেশান। এরপর একটু গরম করে খান। এটি ব্রণের প্রদাহ কমাতে কাজ করবে।

মল হাতে লাগলে শরীর কি ৪০ দিন পর্যন্ত নাপাক থাকে?

প্রশ্ন : মলমূত্র ত্যাগ করার পর টয়লেট পেপার, কুলুপ ব্যবহার করা কি জরুরি? পানি ব্যবহারের সময় মল যদি হাতে লাগে, তাহলে কি শরীর নাপাক হয়ে যাবে? অনেকে বলে থাকেন, মল যদি হাতে লাগে তাহলে নাকি ৪০ দিন পর্যন্ত শরীর নাপাক থাকে। এ কথা কি সত্য?
উত্তর : টয়লেট পেপার অথবা ঢিলা ব্যবহার করা জরুরি নয়। যদি পানি থাকে, তাহলে পানির মাধ্যমেই পবিত্রতা হাসিল করা জায়েজ।
আর এ কথাও সত্য নয় যে, যদি কোনো কারণে হাতে মল লেগে যায়, তাহলে ৪০ দিন পর্যন্ত শরীর নাপাক থাকবে। যেহেতু বর্তমানে টিস্যু পাওয়া যায় এবং পরিচ্ছন্নতার জন্য এ কাজ খুবই সুন্দর। আর ইসলামের বিধানেও যেহেতু পরিচ্ছন্নতার বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে, তাহলে সে ক্ষেত্রে টয়লেট টিস্যু ব্যবহার করতে পারেন। তার পর পানির মাধ্যমে পরিপূর্ণ পবিত্রতা হাসিল করতে পারেন।
তবে দুটি একসঙ্গে করলে সেখানে কোনো ধরনের আশঙ্কা থাকল না। এটা শুধু পরিচ্ছন্নতার সঙ্গে সম্পৃক্ত বিষয়, ইসলামের বিধান নয়। ইসলামের বিধান হচ্ছে তাহারাত হাসিল করা। তাহারাত হাসিলের মূল হচ্ছে পানি। পানির মাধ্যমে তাহারাত করলেই যথেষ্ট। 

Wednesday, August 17, 2016

ফোনের র‌্যাম


নতুন যত অ্যান্ড্রয়েডচালিত স্মার্টফোন আসছে, এতে উন্নত প্রসেসর ও গ্রাফিকসের পাশাপাশি বেশি র‌্যামের ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, অ্যান্ড্রয়েডচালিত ফোনে বেশি র‌্যাম লাগে কেন? এ প্রশ্নটির বিভিন্ন ব্যাখ্যা দাঁড় করিয়েছেন প্রযুক্তি বিশ্লেষকেরা। কেউ কেউ বলেন, অ্যান্ড্রয়েডে মাল্টিটাস্কিং বা বিভিন্ন ধরনের কাজের জন্য র‌্যাম বেশি লাগে। তবে গেম নির্মাতা গ্লেন উইলিয়ামস এ প্রশ্নটির গ্রহণযোগ্য একটি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর দাবি, অ্যান্ড্রয়েডে ব্যবহৃত জাভা ও অ্যান্ড্রয়েড প্রসেসিংয়ের সময় জঞ্জাল সংগ্রহ করে বলেই বেশি র‌্যাম লাগে।
র‌্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি, সংক্ষেপে র‌্যাম হলো একধরনের কম্পিউটারের উপাত্ত (ডেটা) সংরক্ষণের মাধ্যম। র‌্যাম থেকে যেকোনো ক্রমে উপাত্ত অ্যাক্সেস করা যায়, এ কারণেই একে র‌্যান্ডম অ্যাক্সেস মেমোরি বলা হয়।
প্রশ্নোত্তর-বিষয়ক ওয়েবসাইট কোরাতে আইফোনের তুলনায় অ্যান্ড্রয়েডে বেশি র‌্যাম লাগে কেন, এ প্রশ্নটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন গ্লেন। তাঁর মতে, অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপে জাভা প্রোগ্রামিং ভাষা ও এই অপারেটিং সিস্টেমটির মেমোরি রিসাইকেল করার প্রক্রিয়া হিসেবে জঞ্জাল সংগ্রহ করে থাকে। যখন মেমোরি বেশি খালি থাকে, তখন এই সিস্টেমটি ভালো কাজ করে কিন্তু মেমোরি যখন সীমিত থাকে, তখন অ্যান্ড্রয়েডের পারফরম্যান্স খারাপ হয়।
একটি ডায়াগ্রামের মাধ্যমে কোরাতে গ্লেন দেখিয়েছেন, অ্যান্ড্রয়েড ফোনে সর্বোচ্চ সক্ষমতা পেতে চার থেকে আট গুণ বেশি মেমোরি থাকা দরকার। এ কারণেই আইওএসের তুলনায় অ্যান্ড্রয়েডে বেশি পরিমাণ র‌্যাম দরকার হয়। 
স্মার্টফোনের কত র‍্যাম হলে ভালো? 
ফোনে বেশি মেমোরি মানে বেশি চার্জ খরচ। বিশ্লেষকেরা বলেন, বেশি ভালো ভালো নয়, আবার খুব কমও ভালো নয়। স্মার্টফোনে খুব বেশি র‍্যাম মানে বাড়াবাড়ি, আবার একেবারে কম র‍্যাম হওয়া ঠিক নয়। র‍্যাম কম হলে ফোন হ্যাং হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে। আবার বেশি হলে চার্জ দ্রুত শেষ হয়। উদাহরণ হিসেবে ওয়ানপ্লাসের কথা বলা যায়। ওয়ানপ্লাস ৩ স্মার্টফোনে ৬ জিবি র‍্যাম যুক্ত করেও গ্যালাক্সি এস ৭ ও আইফোন ৬এসের সঙ্গে পেরে উঠছে না।
র‍্যাম কত হলে ফোন কেনা উচিত?
স্মার্টফোন কতটা দ্রুতগতির, তা বিবেচনা করতে গেলে র‍্যাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। র‍্যাম কম মানে ফোন ধীরগতির। র‍্যাম হচ্ছে এমন একটি চিপ, যা স্মার্টফোনের সক্রিয় অ্যাপগুলোকে সংরক্ষণ করে রাখে। যত বেশি র‍্যাম, তত বেশি অ্যাপ স্বাচ্ছন্দ্যে চলবে। 
আধুনিক সব স্মার্টফোনেই ১ জিবি থেকে ৪ জিবি পর্যন্ত র‍্যামের ব্যবহার দেখা যায়। তবে ফ্ল্যাগশিপ বেশ কিছু ফোনে ৬ জিবি র‍্যামের ব্যবহারও হচ্ছে। অনেক ফোনেই ৫১২ মেগাবাইট র‍্যাম আছে। এগুলো সাধারণ পুরোনো ও সস্তা চীনা ফোন। এত কম র‍্যাম থাকলে আধুনিক অনেক অ্যাপ বা গেম চালু হবে না। পুরোনো সংস্করণের অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ৫১২ এমবি র‍্যাম দেখা যায়। ১ জিবি র‍্যাম থাকলে অধিকাংশ অ্যাপ চালু করা যায়। তবে অ্যান্ড্রয়েড ফোনের জন্য র‍্যাম ১ জিবির বেশি হলে সুবিধা বেশি। গুগল ক্রোমে একাধিক ট্যাব চালাতে গেলে ১ জিবি র‍্যামে সমস্যা হয়। প্রতিদিন যাঁরা দরকারি কাজে ফোন ব্যবহার করেন, তাঁদের ১ জিবির বেশি র‍্যামের ফোন হলে ভালো।
বিশেষজ্ঞরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে কমপক্ষে ২ জিবি ফোনের পক্ষে মত দেন। অ্যাপ চালু রাখতে, গেম খেলতে ও অ্যান্ড্রয়েড হালনাগাদ পেতে ২ জিবি র‍্যাম থাকলে ভালো। তবে একসঙ্গে বেশি অ্যাপ চালু করতে গেলে ২ জিবি র‍্যামেও অনেক ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। যদি দুই-তিন বছরের মধ্যে ফোন পরিবর্তনের ইচ্ছা না থাকে, তবে ২ জিবি র‍্যামের ফোন কেনা যায়।
যদি গেম খেলতে ও অনেক অ্যাপ ব্যবহার করতে হয়, তবে ৩ জিবি র‍্যামের ফোনের পারফরম্যান্স ভালো পাওয়া যায়। বাজারে ৩ জিবি র‍্যামের অনেক ফোন সাশ্রয়ী দামেই পাওয়া যায়। ৪ জিবি থেকে ৬ জিবি র‍্যামের ফোনগুলো ফ্ল্যাগশিপ ফোন বলে বাজারে চালানো হয়। গ্যালাক্সি এস ৭ এজ, এলজি জি ৫-এর মতো মডেলগুলোতে ৪ জিবি র‍্যাম আছে। বেশি র‍্যামের ফোনগুলোর দাম তুলনামূলকভাবে বেশি হয়। তবে বেশি র‍্যাম হলে ফোনের পারফরম্যান্স ভালো হয়। মাল্টিটাস্কিং যাঁরা করেন, তাঁরা বেশি র‍্যামের ফোনের দিকে ঝুঁকতে পারেন। ৬ জিবি বা ৮ জিবি র‍্যামের ফোন কি বাড়াবাড়ি নয়? যদি বাড়তি এই র‍্যামের জন্য বাড়তি খরচ না পড়ে, তবে বেশি র‍্যাম একটু বেশিই ভালো!

অ্যালার্জি কাদের বেশি হয়?

অ্যালার্জি একটি প্রচলিত সমস্যা। বিভিন্ন কারণে অ্যালার্জি হয়। এই সমস্যা কাদের বেশি হয় এবং এর চিকিৎসা কী, সেটা নিয়ে কথা বলেছেন বিশিষ্ট অ্যালার্জি বিশেষজ্ঞ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের অ্যালার্জি অ্যান্ড ক্লিনিক্যাল ইমিউনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. গোবিন্দ্চন্দ্র দাস। এনটিভির স্বাস্থ্য প্রতিদিনের ২১৯৪তম পর্বে এ অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়।

প্রশ্ন : অ্যালার্জি ব্যাপক একটি বিষয়। তবে মূলত অ্যালার্জি বলতে আমরা ত্বকের অ্যালার্জিকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি। একজন মানুষের ত্বকে অ্যালার্জি হয় কেন?
উত্তর : ত্বকে যেই অ্যালার্জি হয় একে সাধারণত বলি আর্টিকেরিয়া। শরীর চাক চাক হয়ে যায়, লাল হয়ে যায়। আবার অনেক সময় ছোট বাচ্চাদের হয়, লাল হয়ে যায়, চুলকায়- একে বলে এটোপিক ডার্মাটাইটিস। বড়দের অনেক সময় হয় কনট্রাক্ট ডার্মাটাইটিস। কোনো কোনো স্পর্শে অ্যালার্জি হয়- এগুলো হয় ত্বকে। নাকের মধ্যে যে অ্যালার্জি হয় নাক চুলকায়, নাক দিয়ে পানি পড়ে, হাঁচি হয়, অনবরত হাঁচি, একে বলা হয়, অ্যালার্জি রাইনাইটিস।
আর ফুসফুসের মধ্যে যখন অ্যালার্জি হয়, শ্বাসকষ্ট হয়, কাশি হয়, রাতে ঘুমাতে পারে না। এই সবইঅ্যালার্জির বিভিন্ন রকম প্রকাশ।
প্রশ্ন : এই অ্যালার্জির কারণ কী? এটি হয় কেন?
উত্তর : আপনি ঠিকই বলেছেন, একটি পরিবারে হয়তো পাঁচটি ভাই আছে। একজন বা দুজনের অ্যালার্জি হবে আর তিনজনের হবে না। সাধারণত যাদের রক্তে আইজিইর পরিমাণ বেশি, তাদের সাধারণত অ্যালার্জি হয়।
কতগুলো সাবসট্যান্স থাকে যেগুলো অ্যালার্জির জন্য সহায়ক। সবচেয়ে বেশি অ্যালার্জির জন্য সহায়ক হলো ধুলাবালি, বাড়ি ঘরের বিছানাপত্র। এসবের মধ্যে এক ধরনের পোকা থাকে। এই ধরনের পোকা একটি তোশকের মধ্যে প্রায় ২০ লাখের বেশি থাকে। একে হাউজ ডাস্ট মাইট বলে। তা ছাড়া ফুলের রেণু, ফাঙ্গাস, কোনো খাদ্য, পশু পাখির লোম- এগুলো থেকেও অ্যালার্জি হতে পারে। তবে একেকজনের একেকটি বিষয় থেকে অ্যালার্জি হতে পারে।
প্রশ্ন : তাহলে এই অ্যালার্জি থেকে বাঁচার উপায় কী?
উত্তর : আমাদের লেপ তোশক ব্যবহার করতেই হয়। আমি সবাইকে বলি, যে তোশকে আমরা ঘুমাই এগুলো মাঝে মাঝে রোদ্রে দেওয়া উচিত। বিশেষত বিছানার চাদরটি প্রতিদিন তো ধোয়া সম্ভব নয়, একে প্রতিদিন রোদে শুকাতে দেওয়া উচিত। আর বিদেশে বা বাংলাদেশেও এখন মাইটরোধী কাভার পাওয়া যায়। এই কভারগুলো যদি আমরা তোশকের ওপর দেই বা বালিশের ওপর দেই ভেতর থেকে মাইটটা আসবে না। এতে আমাদের কষ্ট অনেকটা লাঘব হবে।
আসলে সবারই একটি অ্যালার্জি পরীক্ষা করানো উচিত। কার কিসে অ্যালার্জি। কারো মাইটে অ্যালার্জি হয়, কারো ফাঙ্গাল অ্যালার্জি হয়। আমাদের একটি সাধারণ ধারণা অ্যাজমা হয়েছে, গরুর মাংস, চিংড়ি , বোয়াল মাছ, গজার মাছ সব খাওয়া বাদ দিতে হবে। তবে এগুলো ঠিক নয়।  আমার ২০ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি শতকরা ৯৮ শতাংশ রোগীরই গরুর মাংসে অ্যালার্জি হয় না। গরুর মাংস খেলেও যা, না খেলেও তা। তাই অ্যাজমা হয়েছে দেখে গরুর মাংস, চিংড়ি খাওয়া যাবে না, সেটি ঠিক নয়। প্রথমে একটি অ্যালার্জির পরীক্ষা করতে হবে। অ্যালার্জি পরীক্ষা করে যে এলার্জেন পাওয়া যায় সেটিকে শুধু এড়িয়ে যেতে হবে।

প্রশ্ন : অ্যালার্জির কোনো চিকিৎসা আছে কি? ধরুন আমি পরিমিত খাব, তবে সবই খেতে চাই। আবার অ্যালার্জি মুক্তও থাকতে চাই। এটি সম্ভব কি না?
উত্তর : এটি সম্ভব। অ্যালার্জির টেস্ট দুইভাগে করা হয়। হাতের মধ্যে বিভিন্ন এলার্জেন  দিয়ে  পিক পিক করে টেস্ট করি। টেস্ট করার পর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর আমরা বলে দিতে পারি তার কিসে কিসে অ্যালার্জি।
তা ছাড়া স্পেসিফিক আইজি বলে একটি বিষয় আছে। শরীর থেকে রক্ত নিয়ে মেশিনের মধ্যে দিয়ে দেখি কিসে অ্যালার্জি আছে। এটা সাধারণত আমরা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে করি। তার পিক নিতে ভয় পায় দেখে সাধারণত করে থাকি।
অ্যালার্জি টেস্ট করার পর উৎসটাকে যদি বাদ দিয়ে দেই, তাহলে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম থাকে।
অ্যান্টি আইজি ওমালিজমাফ একটি ইনজেকশন আছে, সেখানেও আইজিকে কমানো যায়। এই দুটো করা হলে আইজির পরিমাণ কমবে। অ্যালার্জির পরিমাণ কমবে।
আর যে প্রদাহগুলো হবে সেগুলোতে স্টেরয়েড, মন্টিলুকাস, অ্যান্টি হিসটামিন- এগুলো ওষুধ দিয়ে ঠিক করা যায়। (যে কোনো ওষুধ ব্যবহারের আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।) আর অ্যাজমার অন্যতম একটি  কারণ মানসিক চাপ। এদের যতই্ ওষুধ দেওয়া হয় কোনো কাজ হবে না, যদি মানসিক চাপ কমানো না হয়। এজন্য আমাদের দরকার যোগব্যায়াম, প্রাণায়েম, মেডিটেশন, শিথিল হওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি। এগুলো করলে এই ধরনের অ্যালার্জি জনিত রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। দীর্ঘমেয়াদি ভালো থাকা সম্ভব।
প্রশ্ন : অ্যালার্জির জন্য যেই পরীক্ষা করা দরকার এগুলো কী বাংলাদেশে সম্ভব?
উত্তর : সব পরীক্ষাই বাংলাদেশে সম্ভব। অনেকের ধারণা বাংলাদেশে অ্যালার্জির কোনো চিকিৎসা নেই। সব চিকিৎসা বিদেশে রয়েছে। জানা দরকার, অ্যালার্জির কেন হচ্ছে সেটি নির্ণয় করে চিকিৎসা নিলে ভালো থাকা সম্ভব। আর সব ধরনের পরীক্ষা এবং চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই আছে। এজন্য বিদেশে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
প্রশ্ন : অ্যালার্জির সঙ্গে তাপমাত্রার সম্পর্ক কী? কারো দেখা যায়, ঠান্ডা বা গরমে অ্যালার্জি হচ্ছে, কারো বৃষ্টির পানিতে ভিজলে অ্যালার্জি হচ্ছে। এই বিষয়টি কী?
উত্তর : ঠান্ডা-গরম হলে নাকের রিসেপটরগুলো ঠিক মতো গ্রহণ করতে পারে না। তখন নার্ভাস পদ্ধতির হরমোনের ভারসাম্য কমে গিয়ে এই সমস্যা হয়।
প্রশ্ন : অ্যালার্জি প্রতিরোধের উপায় কী? বিশেষ করে ভ্যাকসিন বা টিকার কোনো ভূমিকা আছে কি না?
উত্তর : অবশ্যই ভূমিকা আছে। আমি আগেই বলেছি, এর যদি সঠিক চিকিৎসা নেওয়া হয়, তাহলে দীর্ঘমেয়াদী ভালো থাকা যায়। রোগী এলে আমরা সাধারণত ইনহেলার বা একটি ওষুধ দিয়ে ছেড়ে দেই। এটা করলে হবে না। প্রথম হলো যেই কারণে অ্যালার্জি হচ্ছে সেই ট্রিগার নির্ণয় করে সেটি পরিহার করতে হবে। ট্রিগার যদি পাওয়া যায় তাহলে আমাদের কষ্ট কম হবে। অ্যালার্জির ভ্যাকসিনও এখন বাংলাদেশে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে এটি আছে, চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে এবং রোগীও ভালো হচ্ছে।
অ্যালার্জি ভ্যাকসিনের কাজ হলো আমাদের শরীরে যে আইজিই বেশি থাকে, তার সমস্যা হয়। আইজিইকে যে আইজিজিতে রূপান্তর করে সেটাকে বলা হয় অ্যালার্জি ভ্যাকসিন। এখন অল্প মাত্রা থেকে আস্তে আস্তে একটি মাঝামাঝি ডোজে শরীরে দেওয়া হয়। দুইভাবে করা হয়, ইনজেকশনের মাধ্যমে এবং জিহ্বার নিচে দিয়ে। এর কাজ হলো আইজিইটাকে আইজিজিতে পরিণত করে। তখন আর কষ্ট হয় না।
প্রশ্ন : ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে কী কোনো পরীক্ষা করতে হয়?
উত্তর : এক্ষেত্রে অ্যালার্জি টেস্ট বা আইজিই পরীক্ষা করে নিতে হয়। সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সে এটি শুরু করা যায়।
আপনি আরেকটি বিষয় দেখবেন আমাদের অনেকেরই হাঁচি হয়। দীর্ঘদিন সমস্যাটি থাকে। আমরা একে কোনো গুরুত্ব দেই না। হাঁচির পর অ্যাজমা হওয়ার আশঙ্কা ৯০ ভাগ। এই হাঁচির চিকিৎসা করতে হবে। তাহলে অ্যালার্জি হওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যাবে।
প্রশ্ন : অ্যালার্জি ভ্যাকসিন কি জীবনের যেকোনো সময় নেওয়া যায়?
উত্তর : অ্যালার্জি পরীক্ষা করার পর যার যে কারণে সমস্যাটি হয়, সেই কারণে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়। রোগী চিকিৎসকের কাছে এলে পরীক্ষা করে ট্রিগারটি নির্ণয় করলে চিকিৎসা শুরু করা হয়। এটি সাধারণত তিন থেকে পাঁচ বা কোনো কোনো ক্ষেত্রে বেশি দিনও দেওয়া হয়। দিলে আইজিইর মাত্রা কমে গেলে সারা জীবনের জন্য সে সুস্থ থাকবে। 

চাল ধোওয়া পানি অথবা মাড় ফেলবেন না, অবিশ্বাস্য কাজের


একবার ভাত হয়ে গেলেফ্যান বা মাড়টা কি কখনও রেখে দিয়েছেনসুতির জামা-কাপড়ে মাড় দেওয়ার প্রয়োজনেমাঝেমধ্যে কেউ ভাতের ফ্যান রেখে দিলেওসাধারণত অপ্রয়োজনীয় ধরে নিয়ে ফেলেই দেন। কিন্তুজানেন কি ভাতের ফ্যান বা চাল ধোওয়া পানিে রয়েছে 'বিউটি সিক্রেট'? নানা ভিটামিন  মিনারেলে পরিপূর্ণ। শুধু ত্বক নয়চুলের জন্যও যা উপকারী
চুল ভালো রাখে : চুলে শ্যাম্পু করার পর ভাতের ফ্যান দিয়ে মাথাটা ভালো করে ঘষে নিন। কয়েক মিনিট  অবস্থায় রেখে দিয়েপানিে ভালো করে চুল ধুয়ে নিন। কিছুদিনের মধ্যেই চুল হয়ে উঠবে মসৃণঝলমলে। যাদের চুলের আগা ফেটে যাচ্ছেতারাও উপকৃত হবেন
ত্বকে জৌলুস আনে : যাঁদের ত্বক ঔজ্জ্বল্য হারাচ্ছেতারাও মুখে ভাতের ফ্যান মাখতে পারেন। প্রথমে উষ্ণ গরম পানিে মুখে ধুয়ে নিন। তারপর তুলোয় করে সারা মুখে ভাতের ফ্যান মাখুন। কিছুক্ষণ রেখেমুখ ধুয়ে নিন। এতে ত্বকের জৌলুস ফেরার পাশাপাশি ত্বক টানটানও হবে। তাই মুখের বলিরেখা ঠেকাতে এটি ব্যবহার করতে পারেন
ত্বকের জ্বালা  প্রদাহের চিকিৎসায় : কিছুটা চাল টগবগ করে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানিটা একটা পাত্রে রেখে দিন। গায়ে বা শরীরের কোথাও ্যাশ বেরোলেঅন্তত ১৫ মিনিট চুবিয়ে রাখুন। ফল পাবেন
একজিমারও ওষুধ চালের পানি : যেখানে একজিমা হয়েছেচালের পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। যত দিন না সম্পূর্ণ সারছেলাগিয়ে যেতে হবে
ডায়েরিয়ার ওষুধ : ডায়েরিয়ায় ভুগলে এক গ্লাস ভাতের ফ্যানে এক চিমটি লবণ মিশিয়ে খেয়ে নিন। চটপট পেট ঠিক হয়ে যাবে
ভাতের ফ্যানে রয়েছে ৮টি জরুরি অ্যামাইনো এসিড। পেশি পুনর্গঠনে সাহায্য করে। এতে থাকা কার্বোহাইড্রেট এনার্জির জোগান দেয়। ফলেএরপর ভাতের ফ্যান ফেলে না দিয়েকাজে লাগান। ফ্যান মাখতে অস্বস্তি বোধ করলেকিছুটা চাল ধুয়ে অল্প ফুটিয়েসেই পানি ফ্রিজে ঠাণ্ডা করেও মাখতে পারেন। সমান উপকারী